অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মো. শাহ্ আলমের নতুন গ্রন্থ হৃদয়ে জুলাই ’৩৬।
বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স। মেলার ২০ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
বইটির ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে, গত প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকার রাজত্ব করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে। এমনকি মত প্রকাশের ভাষা ও লেখনীর শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিল এ দেশের মানুষ।
‘গুম, খুন, হত্যা, বলপূর্বক ধরে নিয়ে আয়নাঘরে আটক রাখা ইত্যাদি নির্মম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আমরা পার করছিলাম এক নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়। এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।’
‘একগুঁয়ে ও চরম হঠকারী হাসিনার সরকার ছাত্রদের বিরুদ্ধে নির্যাতন শুরু করে। ছাত্ররাও দমে যাওয়ার পাত্র ছিল না। অকাতরে জীবন দিয়েছে তবুও ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেনি। হৃদয়ে জুলাই ’৩৬ হলো ছাত্রদের জীবন দেওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের আলোকে লেখা যা ইতিহাসের আকরগ্রন্থ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আন্দোলন চলাকালীন এবং গত ১৬ বছর চরম নির্যাতনের শিকার আমি নিজেও হয়েছিলাম।’
ফ্ল্যাপে আরও উল্লেখ করা হয়, সেই যুগান্তকারী ও আশা জাগানিয়া ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা এতই কঠিন ও গগণবিদারী ছিল যে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি এমনকি বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমামও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাই ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের বিজয়কে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে অমর করে রাখতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
শাহ্ আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিএ অনার্স এবং এম এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম (গোল্ড মেডেল) স্থান অর্জন করেন তিনি। শাহ্ আলম বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিপোর্টার ও উপস্থাপক ছিলেন। বিটিভিতে চাকরিকালীন তার মেধা ও সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এতে ‘শাহ্ আলম বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বইটির মোড়ক উন্মোচন হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সাংবাদিক শফিকুল আলম। এছাড়াও অনেক বিশিষ্টজন এসময় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
জেএইচ/এএসএম
কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রবে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কোপানোর দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে। হামলার সময় এলাকাবাসী দুইজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় পুলিশের গাড়িতে বসেও এলাকাবাসীকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।
আটকের পর হুমকি দেওয়া দুইজন হলেন মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)। এছাড়া কোপানোর ঘটনায় সরাসরি জড়িত আলফাজ (২৩) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, হামলাকারী এই কিশোর গ্যাং বা ছিনতাইকারী গ্রুপে ২০ থেকে ২২ জন সদস্য রয়েছে। তারা নিয়মিত উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে ২৮ নম্বর সড়কে গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে আড্ডা দেয়। গ্যাংয়ের পুরো সদস্যকে গ্রেফতার করতে না পারলে এ রকম হামলার ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
কী ঘটেছিল সেদিন?
উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৭, ৮, ৯ ও ২৮ নম্বর সড়ক ঘুরে এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তর পাশে ২৮ নম্বর সড়কের ওপর একাধিক খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে। সন্ধ্যা হলেই এসব দোকান ও দোকান ঘিরে আশপাশের রাস্তায় আড্ডা বসায় কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মাত্র ১২২ রান করে ওমানকে ৫৭ রানে হারিয়েছে দলটি। আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২ এ ওমানের আল আমেরাতে এই রেকর্ড করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে পূর্ণ ৫০ ওভারের কোনো ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন স্কোর ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড ছিল ভারতের। ১৯৮৫ সালে আরব আমিরাতের শারজায় রথমেন্স ফোর-ন্যাশনস কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৫ রান করে ৩৮ রানে জিতেছিল তারা।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র-ওমান ম্যাচটি ছিল স্পিনারদের দখলে। ম্যাচে মোট ৯ জন বোলার ব্যবহার করা হয় এবং সবাই স্পিনার। পুরুষদের ওয়ানডে ইতিহাস এটিই প্রথম ম্যাচ, যেখানে কোনো ফাস্ট বোলার বল করেননি। এর আগে ৪৬৭১টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি।
ম্যাচের পতন হওয়া ১৯টি উইকেটও ওয়ানডেতে স্পিনারদের সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড করেছে। এর আগে ২০১১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ওয়ানডেতে স্পিনাররা ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নোস্থুশ কেনজিগ ক্যারিয়ারসেরা ১১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন, ফলে ওমান ২৫.৩ ওভারে মাত্র ৬৫ রানে অলআউট হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওমান ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান হয় মাত্র ১৮৭। উভয় দলই অলআউট হয়েছে, এমন ওয়ানডেতে যা ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে মাত্র ১৬৩ রান হয়েছিল।
আল আমেরাতে এই টুর্নামেন্টে স্পিনারদের আধিপত্য ও কম রান করা ছিল নিয়মিত ঘটনা। বিশেষ করে স্বাগতিক ওমানের ম্যাচগুলোতে। ওমানের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা ৮টি ম্যাচেই অলআউট হয়েছে ১৭০ রানের কমে, অন্যদিকে বাকি চারটি ম্যাচে স্কোর ছিল ২৪০-এর বেশি।
এমএইচ/জিকেএস