আমদানি করা গাড়ির ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ দূর হলে রাজস্ব বাড়বে

বর্তমানে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ও নতুন গাড়ির ফি’র বৈষম্য রয়েছে। এটা জরুরি ভিত্তিতে দূর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যাল্স ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। আমদানি করা গাড়িগুলো বিক্রির সময় ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ করার এই প্রথা বিলুপ্ত চাই সংগঠনটি। পাশাপাশি হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাস এবং মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বারভিডা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বারভিডা সভাপতি আবদুল হক। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ রহমান, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ফরিদ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জলুল হোসেনসহ বারভিডার কেন্দ্রীয় নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা সভাপতি আবদুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে গ্র্যাজুয়েশন নির্ধারিত হবে। দীর্ঘ দিনের অপশাসন থেকে মুক্তির পর আমরা যে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে যাত্রা শুরু করেছি তাতে একটি সমৃদ্ধ ও সম্মানজনক সমাজ কাঠামোয় গাড়ির বাজার সম্প্রসারণ হওয়া প্রয়োজন। রিকন্ডিশন্ড গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি নতুন গাড়ির চেয়ে ২৭,৫০৮ থেকে ৫৩,৯৫৮ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের আমদানি করা গাড়িগুলো বিক্রির সময় ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ করতে হয়। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আমদানি করা গাড়ির ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ দূর হলে রাজস্ব বাড়বে।
হাইব্রিড গাড়ি নিয়ে বারভিডা জানায়, আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমেই হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহারের দিকে যাচ্ছি, যেখানে মূল্যবান জ্বালানি সাশ্রয় হয়।হাইব্রিড প্রযুক্তির মোটরগাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিসিভিত্তিক যে শুল্ক-করের হার বিদ্যমান আছে, উৎপাদক এবং ব্যবহারকারী অন্য দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিসি স্ল্যাবের সংস্কার এবং পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে আমরা ন্যূনতম ১২৯ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮২৬ শতাংশ শুল্ক প্রদান করছি। জাপান সরকার প্রকাশিত ইয়োলো বুকে প্রদর্শিত নতুন মূল্যের সঙ্গে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারের খুচরা বিক্রেতার ডিলার কমিশন ও স্থানীয় কর বাবদ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ যুক্ত করা আছে। তাই জাপান থেকে আমরা সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরোনো যেসব গাড়ি আমদানি করে থাকি সেসবের ক্ষেত্রে নতুন মূল্য থেকে ২০ শতাংশ বিয়োজন করে রপ্তানিযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা ন্যায়সংগত।
কিন্তু বাস্তবে ইয়োলো বুকে উল্লিখিত নতুন মূল্য থেকে কোনো ডিলার কমিশন বিয়োজন ছাড়াই বছরভিত্তিক অপচয় হচ্ছে। আবার যেসব ব্যবসায়ী দেশে নতুন গাড়ি আমদানি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে শুল্ক মূল্য নির্ধারণ করে শুল্ক-কর ধার্য করা হচ্ছে। এটি একটি অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক পদ্ধতি এবং কাস্টম আইন ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।
শুল্কায়ন মূল্যে এই চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি পড়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে এবং আমদানি হ্রাস পাচ্ছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরাও মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ছেন।
ইএআর/এমআইএইচএস/এএসএম read more

সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরা

বর্তমান অস্থিতিশীল বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে স্থানীয় অর্থনীতিতে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যবসায়িক হয়রানি, ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চহার, আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে জটিলতা এবং অসহনীয় যানজটের কারণে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয়বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকভাবে বিনিয়োগ পরিস্থিতি আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা, আয়কর ও ভ্যাট, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদহার এবং যানজট’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসব কথা জানান।
রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মপুর ও আদাবর অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) টোকিও কনভেনশন সেন্টারে এ সভার আয়োজন করে। সভায় উক্ত এলাকার ১০টি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাসহ বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ, কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সংকট, আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের এসএমইখাতের উদ্যোক্তারা।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন read more

রাজধানীতে স্টিল কারখানায় শ্রমিকের মৃত্যু

রাজধানীর কদমতলীতে হাসান স্টিল মিলে কাজ করার সময় প্লেটের আঘাতে নয়ন মিয়া (৫২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নয়ন মিয়ার সহকর্মী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা শ্যামপুর হাসান স্টিল মিলে কাজ করার সময় হঠাৎ স্টিলের প্লেটের আঘাত লেগে নয়ন গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, নয়ন মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলা হোসেনপুর থানা খবিশপুর চন্দ্রপট্টি এলাকার মো. শাজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি দুই ছেলে এক মেয়ের জনক।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
এমএএইচ/জেআইএম read more

Need Help?