ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার গাজিরভিটা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আব্দুল মান্নান উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মান্নানের বিভিন্ন অপকর্মসহ এলাকার সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের কারণে তার বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল। ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে জুয়েল আরেং সংসদ সদস্য হওয়ার পর মান্নানের দাপট বহুগুণে বেড়ে যায়। এক রকম লগি-বৈঠা নিয়ে কেন্দ্র দখল করে চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও তিনি এলাকায় বীরদর্পে চলতেন।
গাজিরভিটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক বলেন, মান্নানের নিজের বলতে কিছুই ছিল না। অনিয়ম, দুর্নীতি আর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যান তিনি। কেন্দ্র দখল করে ভোট চুরির মাধ্যমে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। জমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। মান্নান গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
ময়মনসিংহের আদালত পরিদর্শক মো. মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, বিকেলে আব্দুল মান্নানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (২ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে মান্নানের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরে তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। তারা আব্দুল মান্নানের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/এমএস
জননিরাপত্তা বিধানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানা এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। এসময়ে ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পানির ট্যাংক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় (২৮) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে শহরের কলেজপাড়া এলাকার একটি বাসার টিনের চালের ওপর রাখা ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তবে মরদেহটি গলে বিকৃত হওয়ায় নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহেদুল কাদের জানান, কলেজপাড়ার একটি বাড়ির টয়লেটে ব্যবহারের টেপের পানি কয়েকদিন যাবত দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত আসছিল। পরে মঙ্গলবার বিকেলে একটি শিশুকে পানির ট্যাংকটি দেখতে উঠানো হয়। সে ট্যাংকের মুখ খুলে লাশ দেখেই চিৎকার শুরু করে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি আরও জানান, পরে পানির ট্যাংকটি কেটে মরদেহটি বের করা হয়। মরদেহটি পচে ফুলে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয় কেউ নিখোঁজও হয়নি। ফলে ধারণা করা যাচ্ছে লাশটি এলাকার বাইরের কারো। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/জেআইএম