জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই শোনার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মুখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ শোনার জন্য অপেক্ষা করেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে বক্তব্য প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য তাদের নিজেদের বক্তব্য। এখানে আমাদের হ্যাঁ বা না বলার কিছু নেই। এটা আমাদের কন্ট্রোল করারও কোনো সুযোগ নেই, কোনো ইচ্ছাও নেই।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪’ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, একই বৈঠকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বিশেষ পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করা আরও দুটি নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার।
এমইউ/এমএএইচ/জেআইএম
সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের জন্য চারজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে চারজনের এ নিয়োগে শুধু জনসংযোগ দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পৃষ্ঠপোষক রাশেদুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাম ছাত্রসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। তিনি বলেন, ‘এই নিয়োগে কোনো আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়নি। যারা এটা নিয়ে আলোচনা করছেন, তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। এখানে কোনো কোটার প্রশ্ন নেই, কোনো সমন্বয়কের প্রশ্ন নেই। আমরা তাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছি। সেটা তারা পালন করতে পারলে থাকবে, না পারলে থাকবে না।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রয়োজন মনে করলে…অর্ডিন্যান্সের ভেতরে পরিষ্কার আছে যে তিনি ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারেন। এ নিয়োগের বৈধতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবেন, তারা হয় লেখাপড়া জানেন না অথবা না জেনে কথা বলছেন। কাজেই এ বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
অ্যাডহক নিয়োগ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, ‘এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক ভিত্তিতে শতাধিক লোক কাজ করছেন। এটা একেবারে রুটিন ব্যাপার। কে কীভাবে কী করেছে, সে দায়-দায়িত্ব আমার নয়। আমি যে সময়টায় আছি, এ ছয় মাসের সময়ে স্বচ্ছতার বাইরে কোনোভাবে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।’
অধ্যাপক নকীব উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে দুজন, মেডিকেল সেন্টার ও জনসংযোগ অফিসে একজন করে মোট চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।