কোটি টাকার চোরাই গাড়ি উদ্ধার, গ্রেফতার এক

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের চোরাই গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মাহাদী হাসান (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গুলশান থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানার পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গুলশান থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, জনৈক জাহিদ হাসান বনানী এলাকার বাসিন্দা। তনি তার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি বিক্রয়ের জন্য তার পরিচিত জনৈক টিপু সুলতান নামে এক ব্যক্তিকে জানায়। গাড়িটির মূল্য ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। গাড়িটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় গাড়িটি মেরামতের জন্য একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। মেরামতকালে দোকানের ম্যানেজারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত মাহাদী গাড়িটি ক্রয় করতে আসে। মাহাদী একাধিকবার গাড়িটি দেখার পর গত (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে গাড়িটি চালিয়ে দেখাসহ তার মাকে দেখানোর কথা বলে টিপু সুলতানসহ গাড়িটি নিয়ে গুলশান থানার লেকপাড় সংলগ্ন বিলকিস টাওয়ারের সামনে যায়। মাহাদী সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনের সহযোগিতায় টিপু সুলতানকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম জাহিদ হাসান বাদী হয়ে গুলশান থানায় চুরির মামলা করেন।
আরও পড়ুন: read more

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম, সাবেক ইউএনওসহ ১৬ জনে নামে মামলার আবেদন

সুনামগঞ্জ হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার সাবেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন এক কৃষক।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কৃষক পতাকি রঞ্জন দাম বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, আসামীরা শাল্লা উপজেলার ১০টি পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব কাবিটা নীতিমালা স্থানীয় জনগণকে স্কিম বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত করার লক্ষ্যে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) এর মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। নীতিমালায় আরও উল্লেখ আছে হাওর এলাকায় বাঁধের নিকটবর্তী জমির মালিক ও উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করে প্রকল্প কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সদস্যসচিব আবশ্যিকভাবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন করবেন। গঠিত পিআইসি গুলো ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করে আবশ্যিকভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে হবে।
কিন্তু উল্লেখিত অনেক পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব সংশ্লিষ্ট বাঁধের পাশের জমির মালিক নয় এমনকি উপকারভোগীও নয়। নীতিমালায় থাকা স্বত্বেও সংশ্লিষ্ট উল্লেখিত সব বাধের নিকটবর্তী জমির মালিকদেরকে অজ্ঞাত কারণে কোনো কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। উপজেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামত না নিয়ে সব আসামীগণ একে অপরের যোগসাজশে নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে বেআইনিভাবে পিআইসি গুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী পতাতি রঞ্জন দাস বলেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর কৃষকের একমাত্র বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। তারপরও প্রশাসন ও পিআইসির লোকজন নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করে বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ করে। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ না করতে পারায় ফসল ঝুঁকিতে থাতে তাই এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
আদালত পিপি অ্যাডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন বলেন, হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার সাবেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিপসন আহমেদ/আরএইচ/এমএস read more

এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার লেখা যাবে কি না, রায় ১২ মার্চ

ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না—মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের—এমন বিধান প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের নামের আগে ডাক্তার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগ নিয়ে এক যুগ আগে করা অপর রিটেরও শুনানি শেষে হয়েছে।
দুটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে একটি রিট করেন। ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন শুনানি করেন। এ ছাড়া প্রথম রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম শুনানি করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম শুনানি করেন।
প্রথম রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে আইনের ২৯ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষ করা হয়েছে। রায়ের জন্যে আগামী ১২ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আদালত। এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না—আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে একটি রিট করা হয়। আর নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করার কারণে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) ডিগ্রিধারী নিবন্ধিতদের হয়রানি করার অভিযোগ তথা আইনের বৈষম্যমূলক প্রয়োগ নিয়ে এর আগে আরেকটি রিট হয়। দুটি রিটের ওপর একসঙ্গে চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯(১) ধারার ভাষ্য, এই আইনের অধীন নিবন্ধন করা কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না, যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে বলে কেউ মনে করতে পারে, যদি না তা কোন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ তাঁদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। ২৯(২) ধারার ভাষ্য, কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং সে জন্য তিনি ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ওই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রতিবার এর পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, দণ্ডনীয় হবেন।
এফএইচ/এমএএইচ/এমএস read more

Need Help?