Walking Health Benefits: হাঁটার আগে-পরে ৬ মিনিটের বিশেষ নয়, মাঝে ৬০ মিনিট হাঁটাচলা, কী কী উপকার?
<p><strong>Walking Health Benefits:</strong> প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস থাকলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবেই আপনার। দিনে অন্তত একবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটতে পারলেই হবে। চেষ্টা করুন বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় গিয়ে হাঁটার। একান্তই সম্ভব না হলে ছাদ কিংবা বাড়ির উঠোনে হাঁটাচলা করতে পারেন। খোলা জায়গায় হাঁটতে পারলে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকবেন আপনি। ভোরবেলা কিংবা বিকেলে অথবা রাতে হাঁটার অভ্যাস রাখতে পারলে ভাল। নিজের স্বাভাবিক গতির থেকে বেশি স্পিডে হাঁটার প্রয়োজন নেই। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অনেকক্ষণ একটাআ হাঁটবেন না। মাঝে বিশ্রাম নেওয়া, ঘাম মুছে নেওয়া, জল খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। হাঁটার সময় চেষ্টা করবেন গল্প না করার। কথা বলে হাঁটলে আর ঘাম ঝরানো সম্ভব হবে না। স্বাভাবিকের থেকে কমে যেতে পারে হাঁটার গতি। </p>
<p>হাঁটার বিশেষ ৬-৬-৬ নিয়ম, মেনে চলতে পারলে উপকার অনেক </p>
<ul>
<li>হাঁটার এই ৬-৬-৬ রুটিনে আপনাকে প্রতিদিন ৬০ মিনিট হাঁটতে হবে। তবে একবারে নয়। ক্ষেপে ক্ষেপে। দু’বারে অর্থাৎ সকাল এবং সন্ধ্যায় ৩০ মিনিট করে হাঁটতে পারেন মোট ৬০ মিনিট। </li>
<li>হয় সকাল ৬টা নয় সন্ধে ৬টা, এই দুই নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটা প্রয়োজন। নিয়ম অনুসারে এই দুই সময় বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। </li>
<li>হাঁটার আগেও থাকছে নির্দিষ্ট ৬ মিনিটের নিয়ম। ওই সময় প্রয়োজন ওয়ার্ম আপের। তাহলে আর পেশীতে টান, অন্যান্য চোট-আঘাতের সম্ভাবনা থাকবে। </li>
<li>হাঁটার পরেও রয়েছে ৬ মিনিটের বিশ্রামের সময়। এই নির্দিষ্ট সময়ে শরীরকে শান্ত হতে দিতে হবে। ঘাম ভাল করে মুছে নিতে হবে। প্রয়োজনে চোখে-মুখে ভালভাবে জল দিতে হবে। আর শরীর একটু ঠান্ডা হলে জল খেতে পারেন। </li>
</ul>
<p>এবার জেনে নেওয়া যাক ৬-৬-৬ নিয়মে রোজ হাঁটতে পারলে কী কী উপকার পাবেন </p>
<ul>
<li>৬-৬-৬, এই নিয়মে হাঁটলে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। হার্ট রেট হাঁটার সময় বাড়বে। সারা শরীরে ভাল ভাবে রক্ত সঞ্চালন সম্পন্ন হবে। সারা শরীরের ভালভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপনার হার্ট এমনিতেই ভাল থাকবে। </li>
<li>৬-৬-৬ এই নিয়মে হাঁটলে সহজে ক্যালোরি ঝরিয়ে আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। </li>
<li>ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে হাঁটার এই ৬-৬-৬ নিয়ম। ডায়াবেটিসের রোগীদের অনেকেরই খাওয়ার পর আচমকা সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এই প্রবণতা কমায় ৬-৬-৬ বিশেষ নিয়মে হাঁটার অভ্যাস। হাল্কা খাবার খাওয়ার পর আপনি যদি এই ৬-৬-৬ নিয়মে হাঁটেন তাহলে ব্লাড সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। </li>
</ul>
<p><em><strong>ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।</strong></em></p>