Plant Based Foods: উদ্ভিদজাত কোন কোন খাবার শরীরে ভিটামিন-প্রোটিন-মিনারেলসের অভাব হতে দেবে না?
<p><strong>Plant Based Foods: </strong>অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা নিরামিষ (Vegetarian) খাবার খান। অনেক সময়েই মনে করা হয়, নিরামিষ খাবার খেলে হয়তো শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস (Protein Vitamin Minerals) – প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণের (Nutrients) অভাব দেখা দেবে। তবে একটানা অনেকদিন নিরামিষ খাবার খেয়েও কিন্তু শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণের ঘাটতি এড়ানো সম্ভব। খালি কী কী খাবেন, সেটা একটু বুদ্ধি দিয়ে বাছাই করতে হবে। বেশ কয়েকটি প্ল্যান্ট বেসড বা উদ্ভিদজাত উপকরণ রয়েছে, যেগুলি শুধু নিরামিষভোজীদের নয়, আমিষ যাঁরা খান তাঁরাও খেলে উপকার পাবেন অনেক। </p>
<p>তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক প্ল্যান্ট বেসড কোন কোন খাবার খেলে নিরামিষ ভোজীদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণের ঘাটতি হবে না </p>
<ul>
<li>মটরশুঁটি- রান্নায় মটরশুঁটি দিলে অন্যরকমের স্বাদ যেমন হয়, তেমনই এই খাবারের রয়েছে অনেক গুণ। আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি রয়েছে মটরশুঁটির মধ্যে। মাঝে মাঝে মটরশুঁটি খেলে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো সমস্যাও এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও মটরশুঁটির মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। অল্প পরিমাণে মটরশুঁটি খেলেও পেট ভরে থাকবে আপনার। তবে টানা অনেকদিন মটরশুঁটি খাবেন না। আর বেশি পরিমাণে তো একেবারেই খাবেন না। তাহলে তীব্রভাবে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। </li>
<li>কিনুয়া- যাঁরা নিরামিষ খান এবং ওজন কমাতে ডায়েট করেন, তাঁরা কিনুয়া খেতে পারেন। এই উপকরণ দিয়ে স্যালাড তৈরি করা যায়। এছাড়াও কিনুয়া এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় খিচুড়ি। কিনুয়াতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক। প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসও রয়েছে কিনুয়ার মধ্যে। তাই এই খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। </li>
<li>ওটস- আজকাল ব্রেকফাস্টে অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। এই খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও ওটসের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফরফরাস, জিঙ্ক এবং ফোলেট। ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে ওটস। নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিসের মাত্রাও। ওটসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও রয়েছে। অতএব যাঁরা নিরামিষ খান তাঁরা ওটস খেতে পারেন নিয়মিত ভাবে। </li>
<li>নিরামিষ ভোজীদের মেনুতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং ড্রাই-ফ্রুটস রাখা জরুরি। তবে বেশি পরিমাণে খাবেন না। রোজ খেলে অল্প অল্প পরিমাণে খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস খেলে ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। তার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে এইসব বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস খেলে। কিছু বাদাম জলে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিৎ। </li>
</ul>
<p><em><strong>ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। </strong></em></p>