Health Tips: খালি পেটে ভুলেও খাবেন না এই খাবারগুলি, মারাত্মক কষ্ট পাবেন গ্যাস-অম্বলে
<p><strong>Health Tips:</strong> অনেকেই তীব্র অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। সামান্য কিছু খেলেই দাঁত-মুখ একদম টকে যায়। কিংবা হয়ে যায় মারাত্মক গ্যাস। গলার কাছে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করেন। অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস বেশিরভাগ সময়েই ভুল খাওয়া-দাওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। খাবার ঠিকভাবে হজম না হয় দেখা দেয় বদহজমের সমস্যা। আর তার থেকেই অ্যাসিডিটি, গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় অজান্তেই খালি পেটে এমন কিছু খাবার আমরা খেয়ে ফেলি যেগুলির কারণে শুধু অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাস নয়, একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব খালি পেটে কোন কোন খাবার খাবেন না, দেখে নিন সেই তালিকা। </p>
<ul>
<li>খালি পেটে ফল কিংবা ফলের রস, দুটোই মারাত্মক। তীব্র অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেবে অবধারিত ভাবে। কমলালেবু, আমলকি, গ্রেপফ্রুট, লেবুজাতীয় ফল সকালে খালি পেটে একেবারেই খাবেন না। মূলত অ্যাসিডিক ফল যেগুলি, খালি পেটে সেইসব ফল খাওয়া যাবে না। </li>
<li>সকালে উঠে খালি পেটে ভুলেও কফি খাবেন না। শুধু অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাসের সমস্যা নয়, পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সারাদিন গা-গোলাতে থাকবে আপনার। খিদে থাকবে না একেবারেই। এছাড়াও বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে। </li>
<li>কফির পাশাপাশি সাতসকালে দুধ দিয়ে চা কিংবা শুধু দুধও খালি পেটে একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। এমনিতে দুধ খেলে উপকারই হয়। তবে এক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি, গ্যাস এবং পেটের সমস্যা দেখা দেবে দ্রুত। </li>
<li>সকালে ব্রেকফাস্টের আগে সাধারণত বেশিরভাগেরই কিছু খাওয়া হয় না। অতএব জলখাবারে তেলজাতীয় খাবার না রাখাই ভাল।লুচি, পরোটা থেকে শতহস্তে দূরে থাকুন। সকালে খালি পেটে ভাজাভুজি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। </li>
<li>খালি পেটে চিনি জাতীয় খাবার যেমন- কেক, প্রেস্ট্রি, ডোনাট, চকোলেট- এইসব খাবার খাবেন না। খালি পেটে চিনি জাতীয় খাবার, মিষ্টি খাবার খেলে আচমকা ব্লাড সুগারের মাত্রা একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। </li>
<li>বার্গার, পিৎজা জাতীয় খাবারে প্রচুর ফ্যাট, অ্যাডেড সুগার থাকে। তাই এইসব খাবারও খালি পেটে না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। সহজে হজম হতে চায় না এই খাবারগুলি। বদহজম থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে আপনার। </li>
<li>সকালে ঘুম থেকে খালি পেটে অনেকেই লেবু-মধু মেশানো গরম জল কিংবা হাল্কা উষ্ণ জল খেয়ে থাকেন। খালি পেটে এইসব পানীয় নাগাড়ে পান করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিই বেশি। </li>
</ul>
<p><strong>ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।</strong></p>