Hair Care Tips: চুলের ভালর জন্য রোজ শ্যাম্পু করা জরুরি, কিন্তু সঠিক ভাবে যত্ন নিচ্ছেন তো? নইলে বাড়বে বিপদ
<p>Hair Care Tips: সারাবছর না হলেও গরমে অনেকেই চুলের এবং স্ক্যাল্পের ঘাম দূর করতে রোজ শ্যাম্পু করেন। আবার অনেকে সারাবছর সব মরশুমেই নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করেন। যাঁরা রোজ বাইরে বেরোন, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিদিন শ্যাম্পু করাটাই চুলের জন্য ভাল। নাহলে ধুলোময়লা জমে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই চুল পরিষ্কার রাখা দরকার। তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে এবং চুলের সঠিকভাবে যত্ন না করলে চুলের বারোটা বাজতে বেশিদিন সময় লাগবে না। গরমকালে রোজ চুলে শ্যাম্পু করা জরুরি। নাহলে চুলে এবং স্ক্যাল্পে ঘাম থেকে যাবে এবং দেখা দেবে একাধিক সমস্যা। ঘামের কারণে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। এমনকি চুলে নোংরা জমে গেলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। </p>
<p>যাঁরা নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করেন তাঁরা চুল ভাল রাখতে চাইলে কী কী করবেন, দেখে নিন একনজরে </p>
<ul>
<li>রোজ শ্যাম্পু করলে হাল্কা, মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা কেমিক্যাল ফ্রি। হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করলে চুল যেহেতু রুক্ষ-শুষ্ক হবেই, স্ক্যাল্পও মারাত্মক রুক্ষ হয়ে যায় তাই মাঝে মাঝে তেল লাগানো দরকার। </li>
<li>শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই ভালভাবে চুলে এবং স্ক্যাল্পে তেল লাগাতে হবে। যেদিন শ্যাম্পু করবেন তাঁর আগের দিন রাতে নারকেল তেল হাল্কা গরম করে চুলে লাগিয়ে নিন। আপনার ত্বক সেনসিটিভ হলে, খুশকির সমস্যা থাকলে, স্ক্যাল্প এবং চুল খুব তেলতেলে হয়ে থাকলে, তার মধ্যে তেল ম্যাসাজ করবেন কিনা সেই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে শ্রেয়। </li>
<li>নিয়মিত শ্যাম্পু করলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। নাহলে চুল খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাবে। মোলায়েম ভাব বজায় থাকবে না। চুল চকচকে হবে না। </li>
<li>রোজ শ্যাম্পু করলে চুল রুক্ষ, শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই কন্ডিশনার ছাড়াও ব্যবহার করতে হবে হেয়ার সিরাম, হেয়ার মাস্ক, হেয়ার প্যাক। এগুলি বাড়িতে তৈরি করলে ভাল। তাহলে কেমিক্যালের ভয় থাকবে না। </li>
<li>শ্যাম্পু করার পর চুল কখনই গরম জল দিয়ে ধোবেন না। পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিতে হবে যাতে একটুও শ্যাম্পু লেগে না থাকে। </li>
<li>যাঁরা রোজ শ্যাম্পু করেন তাঁরা শ্যাম্পুর পাশাপাশি চুলে আর যা যা প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন, খেয়াল রাখুন সেগুলোতেও যেন কেমিক্যালের পরিমাণ কম থাকে। না থাকলে সবচেয়ে ভাল। </li>
</ul>
<p><em><strong>ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। </strong></em></p>