নার্ভাস ও উদ্বেগের কারণেই জেতেনি মেসিরা, বললেন মিয়ামি কোচ

ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল অনেক। ম্যাচটিতে দারুণ উত্তেজনা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, রোমাঞ্চ থাকবে- এমন আশায় হার্ড রক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ব্যাপক ভিড় জমায় দর্শকরা। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেননি লিওনেল মেসিরা। আল আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ক্লাব বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ইন্টার মিয়ামি।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের জন্য নার্ভাসনেস (স্নায়ুবিক চাপ) ও উদ্বেগকে দায়ী করেছেন মিয়ামির হেড কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা দেখে খেলোয়াড়দের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ।
মাচেরানো বলেন, ‘আমরা জানতাম যে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলছি… প্রথমার্ধে নার্ভাসনেস ও উদ্বেগ আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তবুও আমাদের জেতার সুযোগ ছিল। দলটি ভালো ছাপ রেখে গেছে। এটাই আমাদের পথ… এইভাবে খেললে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি।’
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা নিয়ে মিয়ামি কোচ বলেন, ‘আমি পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি। প্রথমার্ধে কিছু বল হারিয়েছি এবং তাদের অনেক বেশি পাল্টা আক্রমণের সুযোগ দিয়েছি, যেগুলোতে তারা বেশ বিপজ্জনক ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করেছি এবং জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। এটাই ফুটবল।’
গোল না হলেও দলের প্রচেষ্টা ও মানসিকতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মাচেরানো। গ্রুপ পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দুই ক্লাব– এফসি পোর্তো ও পালমেইরাসের বিপক্ষেও এভাবে খেলবে মিয়ামি, এমন প্রত্যাশা মাচেরানোর।
তবে এই ড্র মিয়ামির জন্য খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। এই ম্যাচে মেসি অনেকটা একা লড়েছেন। আর দলের আক্রমণে স্পষ্ট কোনো ধার দেখা যায়নি। প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র মিয়ামিকে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনায় খুব একটা স্বস্তি এনে দেয়নি। পর্তুগালের ক্লাব পোর্তো ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পয়েন্ট হারানোর মূল্য হতে পারে অনেক বড়। জয় পেলে মাচেরানোর দল কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারতো।
ম্যাচজুড়ে মাচেরানো মাত্র দুটি পরিবর্তন করেন। দ্বিতীয়ার্ধে তার দল বলের দখল বেশি রেখেছে ও সংগঠিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ধারালো আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি।
মাচেরানো অধিনায়ক এবং আর্জেন্টিনার সাবেক সতীর্থ মেসির পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন। জুন উইন্ডোতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে লাতিন আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন মেসি।
মাচেরানো বলেন, ‘মেসির খেলার প্রতি ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। এত ম্যাচ খেলার পরেও সে এখনো মাঠে নেমে নিজের সর্বোচ্চটা দিচ্ছে। অবশ্যই আমরা জিততে চেয়েছিলাম, তবে আজ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
এমএইচ/

See also  এনটিআরসিএতে অবস্থান নিয়েছেন ভাইভায় ফেল করা প্রার্থীরা
Total
0
Share
Need Help?