দুর্নীতির মামলায় ডা. জুবাইদা রহমানকে আপিলের অনুমতি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করার অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতির মামলায় ডা. জোবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ করে আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন বলে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই ধারায় ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আইনের দৃষ্টিতে পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে পরোয়ানা না জারিরও আদেশ দেন তিনি।
একই সঙ্গে আদালত তারেকের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া তারেককে তিন কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
ওইদিন দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তারেক রহমান ও জুবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৬(২) ধারার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর এবং ২৭(১) ধারায় অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর।
এ মামলায় গত ২৭ জুলাই দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
রায়ের পর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদ কায়সার কামাল বলেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। মাত্র ১৬ কার্যদিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণার বিষয়টি প্রমাণ করে এই মামলা কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস

See also  Ayushman Bharat Case: ED searches 21 locations in Delhi, Jharkhand, West Bengal
Total
0
Share
Need Help?