ফুটবলে ক্লাব বিশ্বকাপ ছিল এক সময় ছোট পরিসরে। মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন এবং আয়োজক দেশের সেরা ক্লাবকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হতো ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপ। এবার ফিফা সেই প্রতিযোগিতায় নতুনত্ব এনেছে। এবার মোট ৩২টি ক্লাব নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপ।
এবার ভবিষ্যতে ক্রিকেটেও ফুটবলের মতো ক্লাব ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। এই চিন্তাটা মাথায় এসেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। তারা নাম দিতে চাচ্ছে, ‘বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ’।
এক সময় ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০’ নামে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন হত, যেখানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের টি-টোয়েন্টি দল খেলত। তবে গত পাঁচ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের লিগের সংখ্যা বেড়েছে। তার মধ্যে ভারতে আইপিএল, বাংলাদেশে বিপিএল, পাকিস্তানে পিএসএল, ইংল্যান্ডে দ্য হানড্রেড, দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টি২০, অস্ট্রেলিয়ায় বিগব্যাশ এবং আমেরিকায় মেজর লিগ ক্রিকেট রয়েছে। ফুটবলের পাশাপাশি রাগবিতেও ২০২৮ সালে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন হবে। তাই বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের বাজার ধরতে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।
পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে ইসিবির কর্মকর্তা রিচার্ড গুল্ডের মতে, ক্রিকেটের বিপ্লব গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ক্লাব বিশ্বকাপের চেয়ে ভাল প্রতিযোগিতা হতে পারে না। তিনি বলেছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে অদূর ভবিষ্যতে পুরুষ এবং মহিলাদের বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হতে চলেছে। এটাই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০ যৌথভাবে আয়োজন করত ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড। ২০০৯ থেকে ২০১৪, ছয় মৌসুম এই প্রতিযোগিতা চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। আয়োজকরা জানিয়েছিলো, ‘সাধারণ মানুষের এই প্রতিযোগিতায় কোনও আগ্রহ ছিল না। বাণিজ্যিকভাবেও লাভ হচ্ছিল না। ২০০৯ সালে সমারসেটের তৎকালীন কর্মকর্তা গুল্ড নিজের ক্লাবকে অংশ নিতে দেখেছিলেন। গুল্ডের মতে, নতুন করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করলে তা লাভজনক হতে পারে।
সমস্যা একটা জায়গাতেই। ভারতছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেটার একাধিক লিগের ক্লাবের হয়ে খেলেন। ক্লাব বিশ্বকাপে তারা কোন দলের হয়ে খেলবেন সেটা নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া, আইপিএলের মালিকদের বিশ্বের বিভিন্ন লিগে দল রয়েছে। একই মালিকের দু’টি দল মুখোমুখি হলে তখন কী হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
আইএইচএস/