‘চামড়া বিক্রির টাকা তো দানই করা লাগে, তাই মাদরাসায় দিছি’
পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন আজ রোববার (৮ জুন)। আজও চলছে পশু কোরবানি। ঈদের প্রথম দিন থেকেই কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ পশুর চামড়া মসজিদ-মাদরাসায় দিচ্ছেন।
মিরপুরে বর্ধিত পল্লবী এলাকায় মাংস কাটতে দেখা যায় তপু ইসলামকে। চামড়া কোথায় দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, চামড়া মাদরাসার ছাত্ররা এসে নিয়ে গেছে। এটাই ভালো। চামড়া বিক্রি করতে হলে দরদাম করা লাগে। নেবে কি নেবে নানা ঝামেলা। আর চামড়া বিক্রির টাকা তো দানই করা লাগে। এ জন্য মাদরাসায় দিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন:
পোস্তায় কাঁচা চামড়ার সরবরাহ কম, দামে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরাচামড়ার ক্রেতা নেই, মাদরাসায় দেওয়াকেই উত্তম মনে করেন অনেকে
কোরবানির চামড়া অথবা চামড়ার মূল্য দান করার রীতি রয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। অন্তর্বর্তী সরকার চামড়ার দাম বাড়িয়েছে। তবে এবার মসজিদ, মাদরাসায় চামড়া দান করছেন অনেকে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানির সংখ্যা কম। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা চামড়া সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।
বেলা ১১টার দিকে মিরপুর পল্লবীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামিয়া ইমদাদিয়া দারুল উলুম মাদরাসার এক ছাত্র জানান, সকাল থেকে ১০০টি গরুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। চামড়াগুলো মাদরাসা প্রাঙ্গণে রেখে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
মিরপুর ১২ নাম্বারের আল জামাতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম মাদরাসার কর্মকর্তা মোস্তাফা আলি বলেন, গতকাল (ঈদের দিন) ৬৭৪ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ সকাল থেকেই চামড়া আসছে মাদরাসা প্রাঙ্গণে। মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তায় টানানো হয়েছে সামিয়ানা। তার নিচে রাখা হচ্ছে চামড়া।
এসএম/এসএনআর/জেআইএম