ক্ষুদ্রঋণ ও গৃহঋণ নিয়ে আইএফসি-এমআরএ চুক্তি
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)-এর মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমআরএ’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও আইএফসি দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানেজার (এফআইজি আপস্ট্রিম এবং অ্যাডভাইজরি) মেহদি চারকই ‘বাংলাদেশ মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পে সই করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ এবং আইএফসি-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো- ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ঋণ কার্যক্রমকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় রূপান্তরে সহায়তা করা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে উন্নতমানের আবাসন সুবিধার জন্য একটি নীতি পরিবেশ গড়ে তোলা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে এমআরএ-এর অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজিটাল আর্থিক সেবা ও হাউজিং মাইক্রোফাইন্যান্স সংক্রান্ত নীতিমালা, রোডম্যাপ ও নির্দেশিকা প্রণয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আইএফসি’র দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানেজার (এফআইজি আপস্ট্রিম এবং এডভাইজরি) মেহদি চারকই বলেন, এই যৌথ প্রয়াস বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় বাস্তবতার এক অনন্য সংমিশ্রণ, যা প্রান্তিক পর্যায়ে বিশেষ করে নারীদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও জীবনমান উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
এমআরএ’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ খাতকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থার পথে এগিয়ে নিতে আজ এমআরএ ও আইএফসি’র মধ্যে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তিটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এমআরএ সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে সহায়তা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এ খাত পর্যবেক্ষণের জন্য অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্যকর ও দূরদর্শী ভূমিকা পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রকল্পটির সময়সীমা ১৮ (আঠারো) মাস ধরা হয়েছে। প্রকল্পের মোট আনুমানিক বাজেট নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে তিন লাখ মার্কিন ডলার।
এমওএস/এমএইচআর