বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিল গ্লোবাল সুপার লিগের। ওই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া রংপুর রাইডার্সই শেষ হাসি হেসেছিল। এক বিরাট সাফল্য বয়ে এনেছিল বিপিএলের অন্যতম সফল ও নামী দল ফ্যাঞ্চাইজিটি। অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে উদ্বোধনী টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
এবারও গ্লোবাল সুপার লিগ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বীপ গায়নায় যাবে রংপুর রাইডার্স। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২ জুলাই গায়ানার উদ্দেশে যাত্রা করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। গতবারের মতো ২০২৫ আসরেও এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ৫টি দল। তবে তিনটি দলে রদবদল হয়েছে। পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্সের পরিবর্তে আরব আমিরাতের দুবাই ক্যাপিটালস, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার পরিবর্তে একই দেশি হোবার্ট হ্যারিকেন্স ও ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার হকসের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল স্ট্যাগস টুর্নামেন্টে এসেছে। আর পুরাতন দল হিসেবে খেলবে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রাইডার্স
আগামী ১০ জুলাই গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে রংপুর রাইডার্স। ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার হোবার্ট হ্যারিকেন্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ রংপুর রাইডার্সের। তৃতীয় খেলাটি হবে ১৬ জুলাই। সে ম্যাচে রংপুরের প্রতিপক্ষ দুবাই ক্যাপিটালস। ১৭ জুলাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের শেষ ম্যাচ সেন্ট্রাল স্ট্যাগসের বিপক্ষে।
টিম ম্যানেজার আহসানুর রহমান রহমান মল্লিক রনি আজ সোমবার রাতে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে ওপরের তথ্য দিয়ে জানান, এখন রংপুর ম্যানেজমেন্ট বিসিবির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। বিসিবি এনওসি দিলেই গায়ানা যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হবে বলে ম্যানেজার রনি জানান। রনির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৯ স্থানীয় ক্রিকেটার নাইম শেখ, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, মাহিদুল ইসলাম অংকন, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসান আছেন এবারের দলে। সঙ্গে বিদেশি কোটায় আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স, দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরিজ শামসি, আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান, পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ ও আকিফ জাভেদ, যুক্তরাষ্ট্রের হারমিত সিং।
এআরবি/এমএইচ/
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমিয়ে ৮৫৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত এ বাজেট বিবরণী বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা যায়।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে বর্তমান বাজেটে ২৮৫ কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে।
এছাড়া পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫১ কোটি টাকা আর উন্নয়ন ব্যয় ৪০৪ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪২০ কোটি টাকা আর উন্নয়ন ব্যয় ৭২০ কোটি টাকা। ঘোষিত অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ৩১৬ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
আরএএস/এমএএইচ/এএসএম
এবারের বাজেটে মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা বিগত বাজেটের চেয়ে ছোট আকারের বাজেট আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করছি। প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক ধারণা থেকে সরে এসে আমরা চেষ্টা করেছি সামগ্রিক উন্নয়নের ধারণায় জোর দিতে। তাই প্রথাগত ভৌত অবকাঠামো তৈরির খতিয়ান তুলে ধরার পরিবর্তে আমরা এবারের বাজেটে প্রাধান্য দিয়েছি মানুষকে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে একটি উন্নত সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে আমরা যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছি তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বনভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। যার মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন হবে এ দেশের মানুষের জীবনমানের। মুক্তি মিলবে বৈষম্যের দুষ্টচক্র থেকে।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে তাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমাগত যেসব সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার সুবিধা ভোগ এবং যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে তা মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবের বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই বিপ্লবে আত্মোৎসর্গকারীরা আমাদের সামনে একটি বিরল সুযোগ তৈরি করে দিয়ে গেছেন দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করে ভবিষ্যতের জন্য শক্ত ভিত গড়ার। আপনাদের সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সে লক্ষ্য পূরণের প্রত্যয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের অঙ্গীকার পূরণ করাই হবে আগামী দিনে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
এসময় তিনি বলেন, গত দেড় দশকে দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবে দেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল। তাই দেশকে পুনরায় সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কারের রূপরেখা তৈরি এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে সবগুলো কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নির্মূলের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর সংশোধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিদেশে পাচার অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন অনুসরণে দুর্নীতি দমন কমিশন যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত ‘দুদক সংস্কার কমিশন’ সম্প্রতি তাদের সুপারিশ প্রদান করেছে যা যাচাইপূর্বক দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
ইএআর/বিএ/এএসএম